দিল্লি নিয়ে ফের বিস্ফোরক জাভেদ আখতার, নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনা

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই জোরদার প্রতিবাদ করেন জাভেদ আখতার। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ নিয়ে যখন দিল্লি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ৩ দিন ধরে দিল্লির উত্তর-পূর্ব চলতে থাকা হিংসার বলি হয়েছেন অঙ্কিত শর্মা। মঙ্গলবার জাফরাবাদে আপ নেতা তাহির হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন একটি নর্দমা থেকেই আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধার হয়। বুধবার অঙ্কিতের দেহ উদ্ধারের পরই, তাঁর বাবা রবীন্দ্র শর্মা তাহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, “তাহির হুসেনের অনুগামীরাই আমার ছেলেকে খুন করেছে। মারধরের পর অঙ্কিতকে গুলি করা হয়েছে।” যার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে তাহির হোসেনের নামে খুন এবং অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ইতিমধ্যেই তাহির হুসেনের কারখানায় তালা ঝুলিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সেই তাহির প্রসঙ্গেই  জাভেদ মন্তব্য করেছেন যে নামের জন্যেই শুধু তাহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল? দিল্লির হিংসা এবং আইবি অফিসারের মৃত্যুর পর ফের পুলিসকে একহাত নিলেন জাভেদ আখতার। তিনি বলেন, “কত লোক মারা গিয়েছে, কত জন আহত হয়েছে, কত বাড়ি জ্বলেছে, কত দোকানে লুট চালানো হয়েছে, কত লোক ভীত-সন্ত্রস্ত, কিন্তু পুলিশ শুধু একজনের বাড়িতে হানা দিয়েই সিল করেছে এবং গৃহকর্তাকে খুঁজছে। ঘটনাচক্রে ওঁর নাম তাহির। দিল্লি পুলিশের এমন দক্ষতাকে সাধুবাদ জানাতে হয়,” । এই মন্তব্যের পরেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় জাভেদ আখতারকে। তাঁর ট্যুইটের পর তাঁকে নতুন করে আক্রমণ করা হয় নেটিজেনদের তরফে। আইবি অফিসার খুনে তাহির হুসেন মুসলিম বলেই তাঁকে রক্ষা করে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার করে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করতে শুরু করেন নেটিজেনদের একাংশ। সমালোচনা তুঙ্গে উঠতেই আরেকটি ট্যুইট করে তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট করে দেন জাভেদ। তাঁর কথায়, “আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। আমি বলছি না ‘কেন তাহির’, আমার বক্তব্য ‘কেন শুধু তাহিরকেই’ বলির পাঁঠা করা হল? পুলিশের উপস্থিতিতে যারা হিংসা ছড়ানোর হুমকি দিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন এফআইআর দায়ের হল না? হাই কোর্টও এক্ষেত্রে্ দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে!”