বড় পর্দায় কবিগুরুর জীবনচেতনার চার চরিত্রের গল্প নিয়ে আসছে ‘ওস্তাদ- আ জার্নি উইথ রবি ইন্দ্র নাথ ঠাকুর’

‘অসুখওয়ালা’ ও ‘তরঙ্গ’র পর পলাশের তৃতীয় ছবি ‘ওস্তাদ- আ জার্নি উইথ রবি ইন্দ্র নাথ ঠাকুর’। গল্পে কবিগুরুর জীবনচেতনা চারটি চরিত্রের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরবেন পরিচালক। ছবির মূল ভাবনা, চিত্রনাট্যেও রয়েছেন পলাশ নিজেই। প্রযোজনায় অঞ্জন বসু ও অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন। ছবির বিষয়ে পরিচালক বলেন, ‘ওস্তাদ আমার প্রথম উপন্যাস। যখন উপন্যাস আকারে এই কাহিনি বিন্যাস করি তখন থেকেই আমার মনে হতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নামটির মধ্যে একই সত্ত্বায় যেন বহু মানুষের অবস্থান। যখন ছবি হিসেবে এই কাহিনিকে নিয়ে ভাবনা শুরু তখন থেকেই ভেবেছিলাম, বর্তমানের আঙ্গিকে চার জন অভিনেতাকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ কে দর্শকের সামনে পরিবেশন করব। অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন ও অঞ্জন বসুকে ধন্যবাদ যে আমার এই ভাবনার উপর তিনি বিশ্বাস রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ বিবিধ ব্যাক্তিত্বের মানুষ।কখনও তিনি প্রকৃতির পূজারী, কখনো প্রাণের তপস্যায় মগ্ন, কখনও আবার তিনি শিল্পী, সমাজ ও শিক্ষার আঙিনায় সকলকে আনার জন্য বিপুল উৎসাহী, তাঁর মনে কত স্বপ্ন, তাঁর জীবন ও চেতনা কী পরিমাণ বর্ণময়, অথচ তাঁর কাহিনি নিয়ে সেলুলয়েডে বার বার কথা হলেও, তাঁর জীবন নিয়ে বাংলা ভাষায় কাজ একটু কম। সেই ক্ষেত্র থেকেই এই ছবি করতে আসা। আশা করি দর্শকদের প্রত্যাশার যোগ্য সম্মান দিতে পারবো এই ছবির মধ্যে দিয়ে।‘ ‘ওস্তাদ’- কবিগুরুর বিভিন্ন বয়সের গল্প। ছবির কাহিনির কেন্দ্রে রবি, ইন্দ্র , নাথ ও ঠাকুর নামের চারটি চরিত্র। রবির জীবনের লক্ষ্য এক বিশ্বপাঠশালা গড়ে তোলা। দেশ বিদেশের মানুষ এবং বিভিন্ন ফান্ড থেকে রবি টাকা জোগাড় করতে থাকে সারাদিনরাত। লোকাল নেতা এবং পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রীর মৃত্যু পরেও প্রচুর ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে একসময় রবি সেই অনুন্নত গ্রামে বিশ্বপাঠশালা গড়ে তোলে। নাথ সেলসম্যান। পোকামাকড় না মেরেও কীভাবে সমাধান করা যায় সেটাই প্রচার করে । রোজগারের প্রায় সমস্ত টাকায় নাথ বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ কেনে আর ধ্বংস করে সেইসব ওষুধ। ঠাকুর শিল্পী। পৃথিবী বিখ্যাত ছবি আঁকিয়ে। শেষ বয়সে এসে সিদ্ধান্তে পৌঁছোয় যে শিল্প বদলাতে পারেনি মানুষের হিংসা। এঁরা চারজনই বিভিন্ন ভাবে, কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চার অংশ। চারজনের সঙ্গে কোনও না কোনোভাবে একসূত্রে এই গল্পে বেঁধে আছে মৃণালিনী, কাদম্বরী, বিশু, নন্দিনী এবং ভানুসিংহ নামের চরিত্র। এই চার চরিত্রের মধ্যে দিয়েই কাহিনির প্রবাহে একের পর এক আসতে থাকে বর্তমানের আঙ্গিকে নানান মোচড়। কী হয় শেষ পর্যন্ত? সেই গল্পই শোনাতে চলেছে এই ছবি। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন গম্ভীরা ভট্টাচার্য্য, রণজয় বিষ্ণু, শঙ্কর দেবনাথ ও দেবেশ রায় চৌধুরী। ছবিতে অন্যান্য মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন স্নেহা বিশ্বাস, অমৃতা মুখোপাধ্যায়, শুভজিৎ বক্সী, চিত্রাঙ্গদা সমাদ্দার প্রমুখ।