ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ও স্থপতি সতীশ গুজরাল প্রয়াত হলেন। নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন সতীশ গুজরাল। বৃহস্পতিবার রাতে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। তাঁর চলে যাওয়াতে ভারতীয় সংস্কৃতি জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। ১৯২৫ সালে অবিভক্ত পঞ্জাব প্রদেশের ঝেলুমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সতীশ গুজরাল। সতীশ গুজরালের দাদা ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দর কুমার গুজরাল। তাঁর স্ত্রী কিরণ, ছেলে মোহিত, পুত্রবধূ ফিরোজ এবং নাতি-নাতনিরা বর্তমান। ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময়ে শিমলা চলে আসেন সতীশ। সেখানে থাকাকালীনই নিজেকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন চিত্রশিল্পী হিসেবে। ১৯৫০ সাল নাগাদ ডেভিড সিক্যুইরোজ এবং ডিয়েগো রিভেরার (খ্যাতনামা মেক্সিকান শিল্পী তথা ফ্রিডা কাহলোর স্বামী) ত্বত্তাবধানে শিক্ষানবীশ ছিলেন। তাঁদের কাজে অনুপ্রেরিত হয়ে সেরামিক এবং টেরাকোটায় ডিজাইন করার করার কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে পদ্মবিভূষণে ভূষিত সতীশ গুজরাল একজন স্থপতি ও চিত্রশিল্পীর পাশাপাশি ম্যুরালিস্ট, পেইন্টার, আর্কিটেক্ট এবং ডিজাইনার ছিলেন। কবিতা প্রেমীও ছিলেন সতীশ গুজরাল। দিল্লি হাইকোর্টের বিখ্যাত অ্যালফাবেট ম্যুরালটি গুজরালেরই তৈরি। এমনকি রাজধানীতে বেলজিয়ান এমব্যাসিও তাঁর ভাবনায় রূপ পেয়েছে। স্বনামধন্য শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসছে সংস্কৃতিজগতে।