মিস ইউনিভার্স ২০১৯-এর খেতাব জিতলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুনজি

জর্জিয়ার আটলান্টা শহরে বসেছিল ৬৮তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আসর। গোটা বিশ্বের ৯০ জন সুন্দরী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। বিশ্বের তাবড় সুন্দরীদের পিছনে ফেলে স্রেফ বুদ্ধিমত্তার জোরে মিস ইউনিভার্স ২০১৯-এর খেতাব জিতলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুনজি। এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতলেন কোনও দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী। তুনজি দক্ষিণ আফ্রিকা তসলো শহরের বাসিন্দা। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মের সঙ্গে যুক্ত। সমাজে নারী-পুরুষের যে বৈষম্য রয়েছে বরাবর তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই সুন্দরী। এদিন বছর ২৬ এর দক্ষিণ আফ্রিকার জোজিবিনি তুনজি মিস ইউনিভার্সের খেতার জিতে আরও একবার প্রমাণ করেদিলেন সৌন্দর্যের পরিচয় গাত্রবর্ণ নয়, সৌন্দর্য মানে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।  এদিন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে জোজিবিনি তুনজিকে প্রশ্ন করা হয়, একজন অল্প বয়সী মেয়েকে সবথেকে প্রথম কী শিক্ষা দেওয়া উচিত? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘নেতৃত্বের ক্ষমতা।’ এরপর তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তি নারীশক্তি। তাই প্রতিটি নারীকে সুযোগ দেওয়া উচিত যাতে সে তার বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ ঘটাতে পারে। জোজিবিনি তুনজির এই উত্তরের পর আলোড়ন পড়ে যায় দর্শকাসনে। থিয়েটার ফেটে পড়ে করতালিতে। বিচারকরাও মুগ্ধ হয়ে যান। তুনজি আরও বলেন, নেতৃত্বের ক্ষমতা না থাকার কারণেই পিছিয়ে রয়েছে মহিলারা। তবে এর জন্য কোনওভাবেই মহিলারা দায়ি নয়। দায়ি সমাজ। তারাই মহিলাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলাদের সুযোগ দেওয়া দরকার। কিশোরী বা যুবতিদের তাই শেখানো উচিত কীভাবে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। তুনাজির এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরাও মিস ইউনিভার্সকে এই বক্তব্যের জন্য প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে। কেউ লিখেছেন, ‘She killed it.’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘এটি এখনও পর্যন্ত আমার কাছে সেরা ইন্টারনেট ভিডিও।’ জোজিবিনির মাথায় সেরার মুকুট পরিয়ে দেন ২০১৮র মিস ইউনিভার্স ক্যাটরিওনা গ্রে। রানার্স আপ হয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর ম্যাডিসন অ্যান্ডারসন। তৃতীয় হন মেক্সিকান সুন্দরী সোফিয়া আরাগন। তবে এবার সেরা দশেও জায়গা করে নিতে পারেননি ভারতীয় সুন্দরী বর্তিকা সিং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *