রাজস্থানে বিক্ষোভের মুখে  ‘পানিপত’

মুক্তির পরেই বিক্ষোভের মুখে ‘পানিপত’। শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে আশুতোষ গোয়াড়েকরের  পানিপত। ১৭৬১ সালে মারাঠা সম্রাটদের সঙ্গে আফগান রাজা আহমদ শাহ আবদালির মধ্যে হওয়া তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। মারাঠা সেনার কম্যান্ডার সদাশিব রাও ভাউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্জুন কাপুর। সদাশিব রাওয়ের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যায় কৃতি শ্যাননকে।  অন্যদিকে আহমেদ শাহ আবদালির ভূমিকায় অভিনয় করেন সঞ্জয় দত্ত।  এই ফিল্ম নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন মরুরাজ্য রাজস্থানের পর্যটন মন্ত্রী বিশবেন্দ্র সিং। তাঁর দাবি, শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়া রুখতে উত্তর ভারতে ব্যান করা হোক পানিপত। মন্ত্রীর অভিযোগ, অর্জুন কাপুর ও কৃতী শ্যাননের ছবি ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। বিশবেন্দ্রর কথায়, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কিংবদন্তি জাট শাসক মহারাজা সুরজমলকে এই ফিল্মে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং ইতিহাসের তথ্যকে বিকৃত করা হয়েছে।’ ট্যুইটে পোস্ট করে মন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশে জাট সম্প্রদায় যে ভাবে এই ফিল্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে, তাতে আমার মনে হয় আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ছবিটিকে ব্যান করা উচিত।’ একই সুর শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘আত্মসম্মানে ভরপুর, নীতিবান ও বিরাট হৃদয়ের মহারাজা সুরজমলকে পানিপতে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চিত্রনির্মাতাদের এই কাজ নিন্দনীয়।’ নাগপুরের সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল বলেন, সিবিএফসিকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে সিনেমার চিত্রনাট্য় এবং চরিত্রগুলিকে খুটিয়ে পরীক্ষা করে বিষয়টি দেখেন। ইতিহাসকে বিকৃত করে, এমন সিনেমা কখনওই দেখানো উচিত নয় বলেও দাবি করেন সংশ্লিষ্ট সাংসদ। রিপোর্টে প্রকাশ, পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকরের সিনেমায় যেভাবে মহারাজা সূরজমলের চরিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে, তা অপমানজনক। অর্থাত মহারাজা সূরজমল কখনওই ভারতে আফগানদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য মারাঠা যোদ্ধা সদাশিব রাওয়ের কাছে আগ্রা ফোর্ট দাবি করেননি। সিনেমায় যেভাবে আগ্রা ফোর্ট না দেওয়ার জন্য সদাশিব রাওকে সাহায্য করবেন না বলে সূরজমল স্পষ্ট জানান, তা বাস্তবে কখনওই হয়নি বলেও দাবি করা হয়।শুধু তাই নয়, রাজস্থানের বেশিরভাগ মানুষ দেশের পশ্চিম প্রান্তের হিন্দি অর্থাত ব্রজ হিন্দিতে কথা বলেন। কিন্তু সিনেমায় রাজস্থানি এবং হরিয়ানার হিন্দি ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে। তাও চরিত্রের জন্য অনোপযুক্ত বলে দাবি করা হয় রাজস্থানের বেশ কয়েকটি সংগঠনের তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *