“সুভাষজি, সুভাষজি, হ্যায় নাজ জিসপে হিন্দকো, ও শান-এ-হিন্দ আ গ্যায়ে….” ১৯৪৩ সালের এই গান অল্পবিস্তর সব ভারতবাসীর কাছেই পরিচিত। এবার সেই গানই নতুনভাবে শোনা যাবে সৃজিত মুখার্জীর ‘গুমনামী’-তে। বহু বিতর্কের ঝড় সামলে ধীরে ধীরে ‘গুমনামী’ এগিয়ে চলেছে মুক্তির দিকে। আজ মুক্তি পেল বহু প্রতীক্ষিত এই ছবির প্রথম গান। এদিন সকালে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে সল্টলেক সেক্টর থ্রি-তে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ছবির কলাকুশলীদের উপস্থিতিতেই মুক্তি পেল ছবির প্রথম গানটি।
গানটি গেয়েছেন সোনু নিগম। ‘সুভাষজি’ গানটির উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ছবির মূল অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও ছবির সংগীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তও। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ছবির কলাকুশলী, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় গিয়েছিলেন শিমলা ব্যায়াম সমিতিতে। এখানকার দুর্গাপুজো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্যোগেই প্রাণ পেত এক সময়। এদিন সেখানে সেই স্মৃতি রোমন্থনেই যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। ব্রিটিশ শাসিত ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন নেতাজি। তাঁর মৃত্যু ও অন্তর্ধান আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত মুখার্জি কমিশনের তদন্তের তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক। ছবির প্রযোজক SVF-র তরফে গানটি শেয়ার করে লেখা হয়, “গানটি রচনা করা হয়েছিল ১৯৪৩ সালে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আগমন করার জন্য । নেতাজি যখন ৩ জুলাই টানা ৯০ দিনের সাবমেরিন অভিযান শেষে সিঙ্গাপুরে পা রেখেছিলেন, সেসময় তাঁকে স্বাগত জানাতে সেখানকার ৩৫ লাখ ভারতীয় আজাদ হিন্দ ফৌজের জওয়ানরা সমস্বরে গেয়ে উঠেছিলেন ”সুভাষজি, সুভাষজি…” গানটি। তাঁদের সীমাহীন আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ছিল এই গান, যা নতুন রূপে তুলে ধরা হয়েছে গুমনামী ছবির মাধ্যমে ।” পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গানটিকে রেকর্ড করা হয়। সোনু নিগমের কণ্ঠে এই গানটি যে এক আলাদা মাত্রা নিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।