অস্কারের মঞ্চে ইতিহাস গড়লেন ক্লোয়ি ঝাও। প্রথম এশীয় মহিলা হিসেবে সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কার জিতে নিলেন চিনা বংশোদ্ভূত চিত্রনির্মাতা ক্লোয়ি। ফিল্ম নোম্যাডল্যান্ড-এর জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন ক্লোয়ি ৷ জেসিকা ব্রুডারের কাহিনি অবলম্বনে এই মর্কিনি ছবি পরিচালনা করেছেন ক্লোয়ি ঝাও। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯৩ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম এশীয় মহিলা এবং দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিলেন৷ অস্কারের মঞ্চে এবার ‘নোম্য়াডল্য়ান্ড’ ছবির জয়জয়কার। সেরা ছবির অস্কার পেল ‘নোম্য়াডল্য়ান্ড’। ‘নোম্য়াডল্য়ান্ড’ ছবির জন্য়ই সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পেলেন ফ্র্যান্সিস ম্য়াকডরম্য়ান্ড। এই নিয়ে তৃতীয়বার অস্কার জিতলেন তিনি। এদিন চলচিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মান হাতে ৩৯ বছরের ঝাও বলেন, “কী দারুণ ব্যাপার, লাইফটাইম একটা সফরে আমার গোটা নোম্যাডল্যান্ড টিম একসঙ্গে ছিলাম৷” চিনে জন্মগ্রহণ করেন ঝাও ৷ ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বেজিঙেই ছিলেন৷এরপর লণ্ডনের বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেন লস অ্যাঞ্জেলেসের হাইস্কুল থেকে থেকে পাশ করা ক্লোয়ি ৷ নিউ ইয়র্কে ফিল্ম স্কুলে ভর্তি হয়ে তিনি স্বাধীনভাবে তৈরি করেন ‘সংস মাই ব্রাদার্স টট মি’৷ ইতিমধ্যেই গিল্ড অফ আমেরিকা, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা ও বিভিন্ন ফিল্ম সমালোচক গ্রুপেও সম্মানিত হয়েছে ‘নোম্যাডল্যান্ড’৷ এক বৃদ্ধ মহিলার জীবনের লড়াইয়ের গল্প বলে এই ফিল্ম ৷বেকার হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে একটি ভ্যানকে নিয়ে জীবনের সফরে এগিয়ে চলেন তিনি, তাই নিয়েই এগিয়েছে ছবির গল্প ৷ এই ফিল্মের নির্দেশনা ও প্রযোজনাও করেছেন জন্মসূত্রে এশিয়ান পরিচালক ক্লোয়ি ৷