ওয়েব সিরিজের দৌলতে বাক্স বন্দি হয়ে থাকা চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন পরিচালকমহল। ফলে পরিচালকরাও বর্তমানে সিনেমার থেকে ওয়েব ময়দানেই বেশি ঝুঁকছিলেন বেশি। ওয়েব সিরিজ মানেই খোলামেলা কন্টেন্ট, হিংসা, রক্তারক্তি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দেখাতে কোনওরকম বাঁধা নেই। তবে ওয়েব সিরিজ ময়দানে এবার সেই অবাধ চরাচরের দিনও শেষ হতে চলেছে। এবার থেকে ওয়েব সিরিজেও থাকবে সেন্সর বোর্ডের সীমারেখা। সেন্সরের সীমা লঙ্ঘন করলেই চলবে কাঁচি। তবে এবার ওয়েব সিরিজ নির্মাতারা নিজেরাই চাইছেন, ওয়েব বিনোদনের মাধ্যমেও আরোপিত হোক কিছু সেন্সরশিপ। সম্প্রতি দিল্লিতে VDO টিমের সঙ্গে বৈঠক হয় অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের। সূত্রের খবর, সেখানেই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে লাগাম লাগানোর কথা উঠেছিল। তাঁদের কথায়, যেহেতু মানুষ এখন টেলিভিশনের পর্দা ছেড়ে আরও বেশি করে ওয়েব সিরিজে মজেছেন, তাই বাচ্চাদের নাগালেও এসব চলে এসেছে বর্তমানে। সেহেতু পর্নোগ্রাফি, অবরাধমূলক বিষয়গুলি নিয়ে আরও সচেতন হয়ে কাজ করা উচিত। নেটফ্লিক্স, হটস্টার, এরোজ নাও, জি ফাইভ প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কীরকম কনটেন্ট তাঁরা দেখাবেন। তবে বৈঠকে উপস্থিত সকলেই যে এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন, এমনটা কিন্তু নয়। কেনই বা নিজেদের উপর সেন্সরশিপ চাপাবেন এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে ওয়েব সিরিজের বিষয় নিয়ে এবং খোলামেলা কিংবা হিংসাত্মক দৃশ্য নিয়ে তাঁরা আরও ভাবনা চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি, কিছুদিন পর থেকে সব ওয়েব প্ল্যাটফর্ম থেকেই যাতে সিনেমা মুক্তি পেতে পারে, সেরকম পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।