ভারতীয় চলচ্চিত্র দুনিয়ার সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে। ২০২১-এর ৫১তম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এই ঘোষণা করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণার সাথেই এই ঘোষণা করা হয়৷ তবে এবার এই ঘোষণা হল কিছুদিন পর৷ ভারতীয় ছবিতে সেরা অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হয়৷ দাদা সাহেব ফালকে ছিলেন ভারতীয় ছবির জনক৷ তাঁর প্রথম ছবি রাজা হরিশচন্দ্র ছিল (১৯১৩) প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ভারতীয় ছবি৷ তাঁর নামানুসারে এই সম্মান দেওয়া হয় ১৯৬৯ থেকে৷ ১০ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ কমল পুরস্কার পান সম্মানিত ব্যক্তিরা৷ এটাই ভারতীয় সিনেমা জগতের সেরা সম্মান বলে মনে করা হয়৷ বাংলার সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন৷ ২০১৯-এ দাদা সাহেব ফালকে সম্মান পান অমিতাভ বচ্চন ৷ উল্লেখ্য অমিতাভ ও রজনীকান্ত খুব ভাল বন্ধু৷ তাঁদের ছবি হাম এখনও বলিউডের সর্বকালের সেরা বিনোদন ছবি বলে মনে করা হয়৷ ভারতীয় ছবিতে রজনীকান্ত-এর অসামান্য অবদানের জন্য ৫১তম দাদা সাহেব পুরস্কার পাচ্ছেন রজনীকান্ত৷ মূলত দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার তিনি৷ তবে বলিউডেও তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ রজনীকান্তের বয়স এখন ৭০। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রকে অন্যমাত্রা দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে তামিল ছবি অপূর্ভা রাগনাগাল ছবিতে ডেবিউ করেন অভিনেতা। তারপর একেরপর এক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন রজনীকান্ত। অভিনেতা, প্রযোজক রজনীকান্তের খ্যাতি অসীম এবং দক্ষিণ সাম্রাজ্য ছাড়িয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা দেশব্যাপি৷ থালাইভা অর্থাৎ নেতা হিসেবে তাঁকে সম্বোধন করা হয়৷ এতটাই তিনি সকলের প্রিয়৷ তাঁকে দাদা সাহেব সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে, জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷ তিনি জানান, ‘এই ঘোষণা করতে ভাল লাগছে যে, ২০১৯-র দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাবেন ভারতীয় সিনেমার অন্যতম অসাধারণ অভিনেতা রজনীকান্ত। অভিনেতা, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার হিসেবে তাঁর অবদান অসামান্য।’ রজনীকান্তকে এই পুরস্কার প্রাপক হিসেবে যোগ্য যাঁরা মনে করেছেন সেই জুরি সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রকাশ জাভরেকর। সদস্য তালিকায় ছিলেন আশা ভোঁসলে, শঙ্কর মহাদেবন, মোহনলাল, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ ঘাইয়ের মতো শিল্পীরা। ৭০ বছর বয়সেও সমান অ্যাক্টিভ রজনীকান্ত। প্রতিদিন কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসেন। ১৯৭৫-এ তামিল ছবি ‘অপূর্ব রগনগাল’ দিয়ে তাঁর অভিনয়ের ডেবিউ হয়। এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি আইকন হয়ে ওঠোন। বলিউডও রজনীর কাজে সমৃদ্ধ। শুধু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের কারণেই তিনি এই পুরস্কার পাচ্ছেন বলে মত অনুরাগীদের। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই রজনীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অনুরাগীরা। বলিউড এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরাও রজনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সকলেই একমত, যোগ্য ব্যক্তি এই সম্মান পাচ্ছেন।