আইনি ঝামেলায় রাভিনা ট্যান্ডন, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বৃদ্ধাকে হেনস্থা করার অভিযোগ

অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন এবং তার গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মদ্যপানে এক বয়স্ক মহিলাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের ছেলের দাবি। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় রিজভি ল কলেজের কাছে রাভিনার গাড়ি ওই বয়স্ক মহিলাকে ধাক্কা মারে। যার ফলে তিনি চোটও পান। এর পরে, রাভিনার ড্রাইভার গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে এবং বয়স্কা মহিলার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তর্ক শুরু করে। এরপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। এর পর রাভিনাও গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে মারামারি শুরু করেন। সামনে আসা এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাভিনাকে আক্রান্ত ওই পরিবার এবং স্থানীয় জনতা ঘিরে রেখেছে। লোকজন পুলিশ ডাকার কথা বলছে। এদিকে নির্যাতিতার মেয়ে রাভিনাকে বলে, ‘তোমাকে সারা রাত জেলে কাটাতে হবে। আমার নাকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে.’ ভিড়ের উদ্দেশে রাভিনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘দয়া করে আমাকে ধাক্কা দেবেন না… আমাকে মারবেন না…’ সেখানে উপস্থিত জনতাকে ভিডিওটি শুট না করার অনুরোধও করছেন অভিনেত্রী। ভুক্তভোগী থানায় মামলা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিতে কঠোরতা দেখাচ্ছে না বলে জানান আহত মহিলার বাড়ির লোক। আহত নারীর বয়স ৭০ বছর বলে জানা গেছে। তার ছেলে মোহাম্মাদ বলেন, আমরা মেয়ের সম্পর্ক ঠিক করতে কোথাও গিয়েছিলাম। পথে রিজভী ল কলেজের কাছে রাভিনার গাড়ি পার্ক করা ছিল। আমরা ওখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম তখন গাড়িটা একটু উল্টে গেল। এ কারণে আমার মা প্রচণ্ড আঘাত পান। আমরা প্রতিবাদ করলে চালক আজেবাজে কথা বলতে থাকে। গাড়িতে রাভিনা ট্যান্ডনও ছিলেন। সেও গাড়ি থেকে নেমে আমাদের সাথে তর্ক শুরু করে। সে মাতাল হয়ে আমার মাকে মারতে থাকে। এদিকে রাভিনার ম্যানেজার এবং তার দল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাভিনার ম্যানেজার জানিয়েছেন, অভিনেত্রী কাউকে হেনস্থা করেননি। উল্টো যারা অভিযোগ করেছেন তারা রাভিনাকে মারধর করেছেন। রাভিনাও বেশ আহত। এই ঘটনার পরপরই জায়গা ছেড়ে চলে যান রাভিনা ট্যান্ডন। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে খার থানায় পৌঁছান। রাভিনা ট্যান্ডনের স্বামী অনিল থাদানিও থানায় আসেন। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও তারা মামলা নথিভুক্ত করার বিষয়ে অনড় থাকেন। মহম্মদ দাবি করেছেন যে তিনি খার থানায় নির্যাতিতার সাথে ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন কিন্তু তার অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়নি। মোহাম্মদ বলেন, ‘তারা আমাদের থানার বাইরেই বিষয়টি মিমাংসা করতে বলেছে। কিন্তু কেন আমরা তাদের সাথে মীমাংসা করব? আমার মাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং আমি বিচার চাই।’ এখন পর্যন্ত এই পুরো বিষয়ে রাভিনার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।