প্রয়াত জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুনু দত্ত

প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুনু দত্ত৷ তিনি ছিলেন প্রয়াত সুমিত্রা সেনের ছাত্রী ৷ ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র ৷ মৃত্যুর খবর জানিয়ে তিনি লেখেন, রুনুদি চলে গেলেন, রুনু দত্ত। শ্রাবণী খবরটা দিল । আমার মনটা এক মুহুর্তে চলে গেল সেই ‘গানের ওপারে’র দিন গুলোতে। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে করা একটা অসম্ভব ইম্পর্ট্যান্ট কাজ ঋতু, ঋতুপর্ণ আর আমার। যখন করে ছিলাম তখন বুঝতে পারিনি কিন্তু পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ বলেছেন এর কথা।এবং এটা সম্ভব হয়ে ছিল যে দুজন মানুষের জন্য তারা শ্রাবণী এবং রুনুদি ।রনুদি ছিলেন সুমিত্রা সেনের একেবারে প্রথম তিনজন ছাত্রীর একজন। ‘গানের ওপারে’-তে ছিল গোরা র মত চরিত্র। তার গান গাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল সমন্ত্যক কে। কিন্তু ও তখন পুরোপুরি রকে মজে। ইংরাজী এবং বাংলা রকই ছিল ওর বিশেষত্ব। সে অবস্থায় কাজ করতে শুরু করেছিল আমার সঙ্গে।অসম্ভব ভাল গলা ওর। কিন্তু ওকে তো রবীন্দ্রনাথের গান শিখতে হবে ।রুনুদির কাছে পাঠানো হল ওকে । রুনু দির আনন্দ পালিতের বাড়িতে গিয়ে ও গান শিখতো , ওকে তিনি নিজে হাতে তৈরি করলেন সেই গান গাওয়ার জন্য।তারপর ভাঙাভাঙি টা আমি করেছিলাম, কিন্তু রুণুদির হাতে গড়া ওই জিনিস না পেলে তো আমি ভাঙতে পারতাম না । এরপর এক দিন রুনু দিকেই আমরা বেছে নিয়েছিলাম ঠাম্মির , অলকনন্দা রায় এর লিপে গান গুলো গাওয়ার জন্য । মাঝখানে দীর্ঘ বিরতির পর রুনু দির সঙ্গে আবার দেখা হয়েছিল ২০১৫-য় যখন ‘গানের ওপারে’র অ্যালবাম লঞ্চ হলো। কি আনন্দিত , কি উজ্জ্বল ছিলেন রুনুদি। আজ মনে হচ্ছে প্রত্যাশাবিহীন ভাবে এঁদের মতন মানুষেরা কি অবলীলায় দিয়ে যেতেন, ক্রমাগত, দিয়ে যেতে পারতেন। আমরাও নির্দ্বিধায় আবদার করে যেতে পারতাম । এরকম আবদার রাখার লোক আর রইল না। ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। কতটুকু খোঁজ নিতে পেরেছি বা নিয়েছি? এই কষ্ট আমার সঙ্গে থেকে যাবে। আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। আজ রুনুদি আর নেই,শ্রাবণী বলেছে , কিন্তু আমি নিজেকে বোঝাই কি করে?’ তাঁর মৃত্যুর খবর শোকের ছায়া সঙ্গীত মহলে ৷