দ্বিতীয় ছবিতে সৌরভের নায়িকা সৌমিতৃষা

মে মাসের শুরুতেই সুখবর দিলেন মিঠাইরানি সৌমিতৃষা কুণ্ডু। পরিচালক রূপক চক্রবর্তীর আপকামিং ছবি ১০ জুন-এ সৌরভ দাসের বিপরীতে অভিনয় করতে চলেছেন সৌমিতৃষা। অভিনেত্রী জানান, ‘৬ মে থেকে শ্যুটিং শুরু হবে। লুক টেস্ট হয়ে গিয়েছে। আগামী ১১ মে থেকে আমার পার্টের শ্যুটিং শুরু হবে। সৌরভদার নাম এখনই বলা যাবে না। সিনেমার গল্পের সঙ্গে নামটার একটা যোগ রয়েছে। ১০ জুনের যে ঘটনাটা সেখানে একটা দারুণ চমক রয়েছে।’ পরিচালক ছবির গল্পের আভাস দিয়ে বলেন, ১০ জুন সকালবেলা। সদ্য কলেজ পাস করা মিতালী বাড়িতে একা। বাবা-মা গিয়েছে মন্দিরে পুজো দিতে। হঠাৎ কলিং বেলের শব্দ। স্বাভাবিক নিয়মে দরজা দেয় মিতালী। আর গটগট করে ঘরে চলে আসে অবিন্যস্ত চুল, দাড়ি আর ময়লা পোশাকের এক যুবক। মিতালীর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তার বাড়িতে আশ্রয় চায়। সেই সঙ্গে এটাও বলে দেয় সে একজন খুনী। তাই মিতালীকেও খুন করতে দুবার ভাববে না। প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও ওই যুবকের কথা বোঝার চেষ্টা করে। মদ খাওয়ার জন্য জল চাইলে সেটাও এনে দেয়। মিতালীর আচরণে চমকে যায় ওই যুবক। পিস্তল দেখেও ভয় পাচ্ছে না! সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে মিতালীর ব্যবহার ওই যুবকের মন জয় করে নেয়। অন্তরের অন্তঃস্থলে জমে থাকা কষ্টের বরফ ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে। মিতালীর কাছে নিজেকে ধরা দেয় সে। ম্যানেজমেন্টের একজন মেধাবী ছাত্র কেন আজ খুনী তা জানতে মরিয়া হয়ে ওঠে মিতালী। জীবনের প্রথম প্রেমে জোর ধাক্কা। কারণ ওই যুবক তার জন্ম পরিচয় জানে না। মিতালীর কাছে সে জীবনের ঘটনাগুলো বলতে শুরু করে। মা, বন্ধু ঈশান, ছাত্রী সায়নী আর কলেজের প্রফেসর মানিক সেনের সাহচার্যে জিনিয়াস হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে প্রিয়জনকে খুন করে ফেলে। তারপরই সমাজের চোখে সে একজন খুনী। মিতালীকে মনের কথা বললেও যুবকের মনে একটা সন্দেহ হয়। তার মনে হয় কোনও বিশেষ কারনেই সব কিছু জানতে চাইছে। ঘটনার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য? ধোঁয়াশার উপর থেকে চাদর উন্মোচন হবে ১০ জুন। এই দিনটার সঙ্গে পুরো ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে? সেই নিয়েই গল্প রূপক চক্রবর্তীর ‘১০ জুন’।